এক মাসের লকডাউন, সুফল পাচ্ছে নিউজিল্যান্ড

সারা বিশ্বে করোনার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। ইতালির পর যুক্তরাষ্ট্র, স্পেনের মতো উন্নত দেশেও মহামারির আকার নিয়েছে করোনাভাইরাস। প্রায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হার। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতালি, স্পেনের প্রশাসনেরও রাতের ঘুম উড়েছে। সেখানে নিউজিল্যান্ড কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনছে। শুরু থেকেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের প্রশাসন। আর শুরু থেকেই এমন কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সুফল পেতে শুরু করেছে তারা।

প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। করোনার বিস্তার রোধে নিউজিল্যান্ডের প্রশাসন এক মাসের লকডাউন ঘোষণা করেছিল। দেশবাসী তাতে সাড়া দিয়েছে ভালোভাবে। রাস্তাঘাটে ভিড় জমাননি কেউ। প্রয়োজনের বাইরে বাড়ি থেকে বের হননি লোকজন। লকডাউন নিশ্চিত করতে কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন। যার ফল তারা পাচ্ছে এতদিনে। এছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে নিউজিল্যান্ডে গেলেই বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লোকজনকে। জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

গত তিন সপ্তাহের মধ্যে গতকাল নিউজিল্যান্ডে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বনিম্ন। নতুন করে সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ২৯। গত চারদিন ধরেই আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে গোটা দেশে। প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন অনেক আগেই দেশের সীমান্ত লক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারও সুফল পাচ্ছে তার দেশ। বিদেশ থেকে কেউ আসলেই তাকে সেলফ আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কারো শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকলেও তাকে এই নির্দেশ মেনে চলতে হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৩৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩১৭ জন। মারা গেছেন মাত্র একজন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.