করোনভাইরাসে মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বজুড়ে মহামারী সৃষ্টি করা নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যায় ইতালিকে ছাড়িয়ে শীর্ষে পৌঁছে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।

রয়টার্সের টালি অনুযায়ী করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬০০ জনে দাঁড়িয়েছে।

দেশ কখন ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যখন তা সতর্কভাবে বিবেচনা করছেন তখনই যুক্তরাষ্ট্র এই মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেল।

রয়টার্সের টালিতে মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬০০ জন বলা হলেও শনিবার গভীর রাত নাগাদ জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৮২ জন বলে দেখা গেছে।

ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহানে আবির্ভূত হওয়া নভেল করোনাভাইরাস সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে; আক্রান্ত ছাড়িয়ে গেছে সাড়ে ১৭ লাখেরও বেশি।

এখন আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের শীর্ষে রয়েছে।

জনস হপকিন্সের পরিসংখ্যায় অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য, ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত অন্যান্য অঞ্চল মিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৪১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

দেশটিতে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে শুক্রবার দৈনিক মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়, একদিনে মারা যায় দুই হাজার ৭৪ জন। এদিন শনাক্ত হওয়া নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার ৫৫১ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র ওয়াইওমিং বাদে আর সবগুলো অঙ্গরাজ্য থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের পরই আছে স্পেন এবং মৃত্যুর সংখ্যা ইতালি।

ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৬৮ এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৫২ হাজার ২৭১ জন। অপরদিকে স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৬১ হাজার ৮৫২ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৫৩ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ঘরবন্দি আদেশ, যা অধিকাংশ আমেরিকানকে বাড়িতে অবস্থান করতে বাধ্য করছে, যদি ৩০ দিন পর তুলে নেওয়া হয় তাহলে গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.