ইকুয়েডরে ঘরে ঘরে, রাস্তায় পড়ে আছে লাশ

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম করোনা শনাক্ত করা হয়। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৫শ’রও বেশি মানুষের। সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৩ জনের। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে করোনা সংক্রমিত দেশটির গুয়াকুইল শহরের বিভিন্ন বাড়ি ও সড়ক থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রায় ৮শ’ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এসব মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে করোনা সংক্রমণের ফলেই এদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইকুয়েডরে করোনা সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র গুয়ায়েস প্রদেশের রাজধানী এই গুয়াকুইল শহর। সারা দেশের ৭০ শতাংশ আক্রান্তই এ শহরের। ব্যাপক আকারে করোনা সংক্রমণের মুখে আক্ষরিক অর্থে ধসে পড়েছে এর জরুরি সেবা, হাসপাতাল, মর্গ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যবস্থা।

মরদেহ সৎকারে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে মানুষজন দিনের পর দিন স্বজনদের লাশ ঘরে রাখতে বাধ্য হয়। এক পর্যায়ে কেউ কেউ হয়তো রাস্তায় মরদেহ ফেলে দিয়ে গেছে। এখনও অনেকে যথাযথভাবে সৎকারের আশায় প্রিয়জনের লাশ নিয়ে বসে আছে।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

গুয়াকুইল শহরের অনেক বাসিন্দাই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাস্তায় পড়ে থাকা পরিত্যক্ত মরদেহের ছবি পোস্ট করছেন। তারা এসব মরদেহ সৎকারের অনুরোধ জানাচ্ছেন।

শহর জুড়ে বিভিন্ন বাড়ি ও সড়কে পড়ে থাকা এসব মরদেহ সংগ্রহে গঠিত পুলিশের দলটিকে নেতৃত্ব দেওয়া জর্জ ওয়েটেড বলেন, আমরা মানুষের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করেছি এমন মরদেহের সংখ্যা ৭শ’রও বেশি।

রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে জর্জ জানান, তারা গত ৩ সপ্তাহে গুয়াকুইলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৭৭১টি মরদেহ সংগ্রহ করেছেন। এছাড়া শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করেছেন আরও ৬৩১ মরদেহ। ওইসব হাসপাতালের মর্গগুলোতে লাশ রাখার জায়গা নেই। সংগৃহীত মরদদেহের মধ্যে ইতোমধ্যে ৬শ’ মরদেহের সৎকার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে এপ্রিলের শুরুতে ওয়েটেড জানান, চিকিৎসকদের মতে এ মাসে কেবল মাত্র গুয়ায়েস প্রদেশেই করোনায় মৃতের সংখ্যা আড়াই থেকে সাড়ে ৩ হাজারে পৌঁছাবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.