যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতিমন্ত্রী জন উইটিংডেল অতীতে এক যৌনকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তবে নিজের এই সম্পর্কের কথা গোপন করার জন্য সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে কোনো প্রভাব বিস্তারের খবর অস্বীকার করেছেন ওই মন্ত্রী।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে উইটিংডেল আরো বলেছেন, মন্ত্রী হওয়ারও অনেক আগে তিনি ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তিনি তখন কমন্সের সংস্কৃতি বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে তিনি দাবি করেছেন, ওই নারী যে একজন পেশাদার যৌনকর্মী তিনি এ কথা জানতেন না।
তার ভাষায়,‘২০১৩ সালের অগাস্ট থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই সম্পর্ক স্থায়ী হয়েছিল। মার্চ মাসে আমাদের দেখা হয়েছিল। আমরা দুজন একই বয়সী ছিলাম।’ তিনি তখন ওই নারীর পেশা সম্পর্কে জানতেন না। পরে ওই নারী তাদের সম্পর্কের কথা ব্রিটিশ এক ট্যালবয়েট পত্রিকার কাছে বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন বলে খবর পান জন উইটিংডেল। এটি জানার পরই তিনি ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন। আর সে সময়ই ওই নারী যে একজন যৌনকর্মী এই সত্যটি তার সামনে চলে আসে।
সে দিনের স্মৃতিচরণ করতে গিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন,‘এটি খুবই পুরনো ঘটনা যা নিয়ে আমি সেসময় খুব লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলাম। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ারও নেক আগে আমি এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলাম।’ তবে ব্রিটেনের সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে নিজের এই কেলেঙ্কারির খবর গোপন রাখার জন্য তিনি কোনো প্রভাব খাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত রোববার সে দেশের ‘বাইলাইন’ ওয়েবসাইটে উউটিংডেলের যৌনকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার খবরটি প্রথমবারের মত প্রকাশিত হয়। কিন্তু এ সম্পর্কের খবর সে সময় পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত না হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই মন্ত্রী। পত্রিকাগুলো বলছে, এটি জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো খবর না হওয়ায় তারা এটি এড়িয়ে গিয়েছিল। তবে অনেকে মনে করছেন, সংবাদ মাধ্যমে এটি প্রকাশ না করার জন্য তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়েছিলেন ওই মন্ত্রী। এ ঘটনায় বিরোধী দল লেবার পার্টি প্রেস রেগুলেশনের দায়িত্ব থেকে উইটিংডেলকে সরিয়ে নেয়ারও দাবি করেছে।