সরকারি চাকরিতে কোটার দাবিতে আবারো ভারতের নিম্নবর্গের প্যাটেল সম্প্রদায়ের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে গুজরাট প্রদেশের মেহসানা শহর। শনিবার গুজরাটের সুরাটে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী আহত ও অন্তত পাঁচশ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহমেদাবাদে ওই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর চেষ্টার পাশাপাশি দুটি শহরে মোবাইল সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ হার্দিক প্যাটেলের মুক্তির দাবিতে প্যাটেল সম্প্রদায়ের সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় গুজরাটের মেহসানায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে প্যাটেল সম্প্রদায়ের নেতা লালজি আজাদও রয়েছেন।
surat-patel
মেহসানায় শনিবার প্যাটেল সম্প্রদায়ের অন্তত ৫ হাজার বিক্ষোভকারী একত্রিত হয়। এদের মধ্যে অনেকেই সমাবেশে বাধা দেওয়ায় পুলিশের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে। পুলিশ এক ডজনেরও বেশি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে অনেকেই। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে। সুরাটেও বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।
প্যাটেল সম্প্রদায়ের নেতা লালজি আজাদ বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা হবে বলে আমি পুলিশকে বলছিলাম। তারা লাঠি নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। আগামীকাল গুজরাটে বন্ধের ডাক দিয়েছে প্যাটেলদের দুটি গোষ্ঠী।
গত বছর শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও চাকরিতে কোটার দাবিতে গুজরাটে প্যাটেলদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কোটা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন ২৩ বছর বয়সী হার্দিক প্যাটেল। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অক্টোবরে গ্রেফতার করা হয় তাকে।