ইকুয়েডরে গত শনিবার ১৬ এপ্রিলের শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা আারো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এছাড়া এ ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ৪ হাজার ৬ শ’ মানুষ। সেইসঙ্গে এখনো আরো প্রায় শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
শনিবারের ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলানোর মাঝেই ফের একই স্থানে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরের আগে ৬.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির প্রশান্ত মহাসাগরীয় উত্তরপশ্চিম উপকূলস্থ মুইজনে দ্বীপের ২৫ কিলোমিটার অদূরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়।
শনিবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের অদূরেই ৬.২ মাত্রার এ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। শনিবারের ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকশ’ পরকম্পন (আফটারশকস) অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যেই বুধবারের ভূমিকম্পে ফের কেঁপে উঠে লাটিন আমেরিকান তেল উৎপাদনকারী এই দেশটি যার অর্থনীতি ইতোমধ্যে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। পরপর এই দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প দেশটিতে মরার উপর খড়ার ঘা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, ভূমিকম্প পরবতী বিধ্বস্ত ইকুয়েডরের পুনর্গঠনে তহবিল গঠনের লক্ষ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কররেয়া আন্তর্জাতিক বাজারে বন্ড ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল এ ঘোষণা দেন তিনি।
শনিবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে দেশটির প্রায় ১৫ হাজারের অধিক বাড়িঘর ও অসংখ্য রাস্তাঘাট নষ্ট হয়েছে। প্রায় ২৪ হাজারের মতো মানুষ অস্থায়ী শিবিরে রাত্রিযাপন করছেন যাদের বাড়িঘর ও জীবিকা শেষ হয়ে গেছে।