যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস ওসুস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাৎসরিক সাময়িকীতে মুসলিম ছাত্রীকে আইএস হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, কেউ একজন ওই ছাত্রীর নাম পাল্টে ‘আইএসআইএস ফিলিপস’ করে দিয়েছিল। তার প্রকৃত নাম বায়ান জেহলিফ।
এদিকে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। শনিবার বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুসান পেট্রোসেলি বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সাময়িকীতে ওই মুসলিম ছাত্রীর ছবির নিচের ক্যাপশনে বিদ্যালয়ের কোনো এক শিক্ষার্থী বায়ান জেলিফের নাম পাল্টে ‘আইএসআইএস ফিলিপস’ লিখে দেয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় বিষয়ে জেলিফ তার ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি মর্মাহত, বিরক্ত ও মনক্ষুণ্ন যে লস ওসুস মাধ্যমিকে বিদ্যালয়ের ইয়ারবুকে তা প্রকাশ করা হয়েছে। বস্তুত আমি আইএস নই। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ যা করেছে তা ধৃষ্টতা। আমি এর সাথে ভিন্নমত পোষণ করি। চলুন আমরা সত্যকে খুজে বের করি।’
এ বিষয়ে স্কুলগুলোর সংগঠন শেফি জয়েন্ট ইউনিয়ন ডিস্ট্রিক্ট’র তত্ত্বাবধায়ক মেট হল্টন বলেন, ‘জেহলিফ ভুলভাবে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। উভয় পরিবারের সাথে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে। যদি কোন শিক্ষার্থী ইচ্ছাকৃতভাবে তা করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’