পর্তুগালের ঈদুল আজহার জামাতে বাংলাদেশী মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। তবে ঈদুল আজহার পূর্বের চিরচেনা অনেক আনন্দ করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টর আঘাতে নিরানন্দ হয়ে ঠেকেছে।
প্রথমত পর্তুগালে উচ্চ সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি অভাবে রাজধানী লিসবনে খোলা আকাশের নিচে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিচালনাধীন রাজধানী লিসবনের বায়তুল মোকাররম ইসলামিক সেন্টার জামে মসজিদে ৬ টি, মার্তিম মুনিজ জামে মসজিদে ৪ টি জামাত হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে একাধিক জামাত বাড়ানো হয়েছে। লিসবন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ২ টি এবং আয়েশা সিদ্দিকা মসজিদ অধিভেলাসে ৩ টি, কাসকাইসে ১ টি ঈদুল আজহার নামাজের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খোলা মাঠে নামাজ আদায় করতে না পারলেও মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আল্লাহ তায়ালার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। নামাজ শেষে মুনাজাতপর্বে মুসলিম উম্মার শান্তি কামনাসহ মহামারি থেকে মুক্তিতে আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়েছে সব মসজিদেই।
পর্তো বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি জনাব শাহ আলম কাজল জানান, অনেক লোক করোনা আক্রান্ত থাকায় আমরা দুটি জামাত করতে সক্ষম হয়েছি। যাদের করোনার উপসর্গ ছিল তাদেরকে জামাতে শরিক হওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলাম। তারা সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। নয়ত আরো মুসল্লির জমায়েত হতো।
সার্থকভাবে ঈদ জামাত পরিচালনা করার জন্য প্রবাসী মুসলিমদের ধন্যবাদ জানান তিনি। এবং পর্তুগাল ও বাংলাদেশের সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
বিভিন্ন পরিবার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ঈদের দিন একে অন্যের বাসায় নিমন্ত্রণেও যাননি তেমন। অনেক পরিবার আইসোলেশনের মত ঈদ পালন করেছেন। অন্যের বাসায় যাওয়া থেকে বিরত থাকছেন।
তবে যে সব পরিবারে করোনাক্রান্ত রোগী রয়েছে তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয়ভাবে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবারগুলো এগিয়ে এসেছেন। যা ঈদের মহাত্মতা প্রকাশ করেছে।