বারের ঈদে টিভি চ্যানেলগুলোতে ঘুরেফিরেই দেখা গেছে মৌসুমী হামিদকে। বেশ কয়েকটি নাটক আর টেলিছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর কিছু চরিত্র নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। এসব নিয়ে কথা বললেন তিনি।
এবার ঈদে তো বেশ কয়েকটি নাটকে আপনাকে দেখা গেছে…
হ্যাঁ, এবার বেশ কয়েকজন গুণী নির্মাতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। প্রায় সব কাজের শুটিং ঈদের আগে আগে শেষ করেছি।
ঈদে নিজের কোন কাজগুলো আপনার সবচেয়ে ভালো লেগেছে?
আমি মনে করি, একজন শিল্পীর নিজের সব কাজই সমান প্রিয় হওয়া উচিত। এবার আমি গল্প দেখে নাটক বাছাই করেছি। তাই প্রতিটি কাজ করেই আমার ভালো লেগেছে। তবে এর মধ্যে শিহাব শাহীনের অনামিকা, মোস্তফা কামাল রাজের গল্পটা কখনো পুরোনো হবে না, সুমন আনোয়ারের আশার আলো, অনিমেষ আইচের অশ্বডিম্ব ও রওনক হাসানের মধ্যরাতের ডাকপিয়ন-এর কথা বিশেষভাবে বলতে হবে।
ঈদে অন্যদের কাজ দেখা হয়েছে?
সুমন আনোয়ারের কমলা সুন্দরী ও ফুলমতি খুব ভালো লেগেছে। আর অনিমেষ আইচের মোহিনীতে ভাবনার অভিনয় আমার কাছে এককথায় অসাধারণ লেগেছে।
ইদানিং অনেক নির্মাতার কাজ করার ধরন নিয়ে শিল্পীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন, সে বিষয়ে কিছু বলতে চান?
আমি এবার যে কজন নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই অনেক যত্ন নিয়ে কাজ করেন। তাঁদের নির্দেশনায় কাজ করে তাই আমার মনে কোনো অসন্তুষ্টি নেই। তবে আমার সহকর্মীরা যে আক্ষেপের কথা বলেছেন, তা অনেক ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। এমনটা একজন শিল্পীর জন্য সত্যিই হতাশাজনক। কারণ, আমরা যাঁরা কাজ শিখতে আগ্রহী, তাঁরা যদি পরিচালকের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা না পাই, তাহলে শিখব কোথা থেকে? আর যাঁরা বড় নির্মাতা আছেন, তাঁদের কাছ থেকেও আমাদের শেখার অনেক কিছু আছে। কয়েকজন নির্মাতা আবার একটি ঘরানা তৈরি করে নিয়েছেন। তাঁদের নাটকে ঘুরেফিরে একই মুখ দেখা যায়। নির্দিষ্ট একটি গণ্ডির বাইরে তাঁরা কোনো শিল্পী নির্বাচন করেন না। এ নিয়েও আমার কিছুটা আক্ষেপ আছে।
আরও খবর