আগামীকাল (বুধবার) থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস দিয়ে এই যাত্রা শুরু হবে।
ঢাকা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও পরদিন বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বেনাপোল এক্সপ্রেস পদ্মা সেতু পার হয়ে খুলনা ও বেনাপোল যাবে।
এতে চলাচলে সময় বাঁচবে প্রায় ২ ঘণ্টা।
সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত পাঁচ টাকা ভাড়া কমছে। আগে ঢাকা-খুলনা রুটে শোভন চেয়ারে ভাড়া ছিল ৫০৫ টাকা, সেটা নতুন রুটে হচ্ছে ৫০০ টাকা।
এই ট্রেন দুটি আগে যমুনা নদীর ওপর দিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে খুলনা ও বেনাপোল চলাচল করত।
জানা যায়, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে এবং খুলনা পৌঁছাবে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে।
আর খুলনা ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে এবং ঢাকা পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। আর বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকা ছাড়বে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এবং বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। বেনাপোল এক্সপ্রেস বেনাপোল ছাড়বে দুপুর ১টায় এবং ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে।
তবে পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করলেও ভাড়া বাড়েনি এই পথে। সুন্দরবন এক্সপ্রেসের বর্তমান যমুনা নদী হয়ে যাওয়ার ভাড়া শোভন শ্রেণি ৫০৫ টাকা, এসি চেয়ার ৯৬৬ টাকা ও এসি সিটের এক হাজার ১৫৬ টাকা। তবে পদ্মা সেতু পার হয়ে গেলে ভাড়া হবে শোভন শ্রেণির ভাড়া হবে ৫০০ টাকা, এসি চেয়ার ভাড়া ৮৩০ টাকা ও এসি সিটের ভাড়া ৯৯৫ টাকা।
অন্যদিকে, বেনাপোল এক্সপ্রেসের বর্তমান রুটের ভাড়া শোভন চেয়ার ৪৮৫ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) ৯৩২ টাকা। এতে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করলে ভাড়া হবে শোভন শ্রেণিতে ভাড়া হবে ৪৮০ টাকা ও এসি চেয়ার (স্নিগ্ধা) ভাড়া হবে ৯২০ টাকা। আর যশোর পর্যন্ত দুটি ট্রেনের ভাড়া একই থাকবে। শোভন চেয়ার ৪৫৫ টাকা ও এসি চেয়ার ৮৬৯ টাকা।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক (পশ্চিম) খালিদুন নেছা স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই পথে সুন্দরবন এক্সপ্রেসের নতুন ভাড়ায় আসন বণ্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এটি রোববার থেকে এই আদেশ কার্যকর হয়েছে। টিকিট ২৮ অক্টোবর থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে।
সেই চিঠিতে বলা হয়, ঢাকার কমলাপুর থেকে খুলনার দৌলতপুর পর্যন্ত ট্রেন চলবে। ট্রেনে মোট আসন রয়েছে ৮৬০টি। মোট সাত শ্রেণিতে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস খুলনা থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে দৌলতপুর, নওয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।
আর ঢাকা থেকে ফিরতি পথে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেন ভাঙ্গা জংশন, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া কোর্ট, পোড়াদহ জংশন, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা হল্ট, কোটচাঁদপুর, মোবারকগঞ্জ, যশোর, নওয়াপাড়া এবং দৌলতপুর স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি উভয় পথে ঝিকরগাছা, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।