প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ফ্লাইটে গুরুতর ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’র ঘটনায় সাময়িক বরখাস্তকৃত (সাসপেন্ড) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রকৌশল পরিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শিগগিরই তাদের শোকজ করছেন। এরপর পর্যায়ক্রমে তাদের চাকরিচ্যুতিসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিমানের একজন পদস্থ কর্মকর্তা গত রাতে জানান, ঘটনাটি তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) গঠিত দুটি পৃথক তদন্ত কমিটির রিপোর্টের জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এই রিপোর্টে অন্য কারো নাম আসলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিমানের প্রকৌশল পরিদপ্তরের পরিচালককে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
এদিকে ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত বিমানের চার সদস্যের তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে যে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছে তাতে বলা হয় এই নয় জনের অবহেলার কারণে মধ্য আকাশে ভিভিআইপি ফ্লাইটটি ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’র কবলে পড়ে। যাত্রাপথে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঝুঁকি নিয়ে উড়োজাহাজটি জরুরি অবতরণ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল।
বিমানের পরিচালনা পর্ষদের সভা ২০ ডিসেম্বর
আগামী ২০ ডিসেম্বর বিমানের বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। এই সভা অনুষ্ঠানের সাথে সাথে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভেঙে যাবে। পরে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হবে।