দাম বাড়ছেই ভোজ্যতেলের।
দুই সপ্তাহ ধরে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। শুক্রবার নতুন করে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা বেড়েছে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৪৫-১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে কমেছে ডিমের দাম। আর গরুর মাংস, মাছ, চাল, সবজিসহ বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ ও নয়াবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এদিন প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৮৮ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৮২ টাকা। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ৪৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৪৫০ টাকা।
নয়াবাজারের তুহিন স্টোরের মালিক মো. তুহিন যুগান্তরকে বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ভোজ্যতেলের দাম বেশি। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করছি। কিন্তু তেলের কোনো ঘাটতি নেই। তবুও তারা বেশি দামে বিক্রি করছে।
এদিকে বাজারগুলোতে বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার মুরগি। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ছুটির দিন বিক্রি হয় ১৪৫-১৫০ টাকা। গত সপ্তাহে কেজি বিক্রি হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকা। লাল কক মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯৫-২১০ টাকা কেজি দরে। আর পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি ২৬০-২৮০ টাকায়। স্থিতিশীল ছিল গরু ও খাসির মাংসের দাম। এদিন বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় ৪৮০-৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৮০ টাকা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. আবু সাঈদ বলেন, বাজারের প্রত্যেকটি মুদি দোকানে সয়াবিন তেলের বোতল থরে থরে সাজানো আছে। খোলা তেলেরও ঘাটতি নাই। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তির দিকে। আর গরুর মাংসের দাম বেশি থাকার কারণে ব্রয়লার মুরগি কিনে মাংসের চাহিদা মেটাতে হয়। কিন্তু সেই মুরগির দামও বাড়ছে। এ ছাড়া প্রতি শুক্রবার কিছু না কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা তদারকি না করলে, রমজান আসার আগে পণ্যের দাম আরও বাড়বে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম স্থিতিশীল ছিল। সে ক্ষেত্রে রাজধানীর বাজারগুলোতে রুই বিক্রি হয়েছে ৩১০-৪০০ টাকা কেজি। পাবদা বিক্রি হয় কেজি ৪৫০-৬০০ টাকা। টেংরা বিক্রি হয় ৪০০-৫০০ টাকা। তেলাপিয়া বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১৪০-১৮০ টাকা। পাঙ্গাশ বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১৩০-১৬০ টাকা, শিং ৪০০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং চিতল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা।
রাজধানীর বাজারগুলোতে মানভেদে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২০-৩০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ১০-২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ১৫-২৫ টাকা, শালগম কেজি ২০ টাকা এবং মুলা কেজি ২০-২৫ টাকা। এ ছাড়া পাকা টমেটো কেজি ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়। নতুন আলু বিক্রি হয় ১৫-২০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ১৮-২২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আদা মানভেদে কেজি বিক্রি হয় ৯০-১৩০ টাকা দরে। রসুন বিক্রি হয়েছে কেজি ৭০-৮০ টাকা। পালংশাকের আঁটি ১৫ টাকা, লাল ও সবুজ শাক ৫-১০ টাকায় বিক্রি হয়। লাউশাক আঁটি ২০-৩০ টাকা এবং সরিষা শাক আঁটি ৫-১০ টাকা বিক্রি হয়।