ঘুষ কেলেঙ্কারিতে মার্কিন নৌ কর্মকর্তা

2016_03_26_13_43_20_KF1u933iqAMRqI1hDYcOXabN8y0jtG_128xautoমালয়েশিয়ার কাছে গোপনে প্রতিরক্ষা বিষয়ক তথ্য পাঁচারের দায়ে মার্কিন নৌ-বাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের বাইরেও দানিয়েল দুসেক নামের ওই কর্মকর্তাকে জরিমানা হিসেবে সত্তর হাজার ডলার এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ আরও ত্রিশ হাজার ডলার প্রদান করতে বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া বিবিসি’র পরিবেশিত সংবাদ মতে, মার্কিন নৌ-বাহিনীর ইতিহাসে ঘুষের মতো কেলেঙ্কারির এটাই সবচেয়ে বাজে ঘটনা।

বিবিসি জানায়, বিলাসবহুল হোটেল যৌনকর্মীদের সঙ্গে রাত্রিযাপনের বিনিময়ে ওই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মালয়েশিয়ার একজন প্রতিরক্ষা ঠিকাদারকে দেন তিনি। এই নৌ-কর্মকর্তার বিচারকালে ক্যালিফোর্নিয়ার বিচারক জ্যানিস সাম্মারতিনো বলেন, ‘এটা সত্যিই অচিন্তনীয় যে আজকে আদালতে হোটেল রুম, বিনোদন আর যৌনসেবার বিনিময়ে গোপন নথি পাঁচারে অভিযুক্ত একজন নৌ-কর্মকর্তাকে সাজা দিতে হচ্ছে।’ উল্লেখ্য যে, দুসেক যে বিভাগে কর্মরত ছিলেন সেই বিভাগের আরও কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দশ মিলিয়ন ডলারের একটি ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্ত চলছে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম রণতরীতে কর্মরত ছিলেন দুসেক।

তবে মালয়েশির ঠিকাদার লিওনার্দ ফ্রান্সিস জানান, তারা ওই নৌ-কর্মকর্তাকে এই বিশেষ সুবিধাগুলো দিয়েছিলেন যাতে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-জাহাজগুলো গ্লেন ডিফেন্স মেরিন এশিয়ার নির্ধারিত বন্দরে জাহাজ না ভেড়ায়। কারণ ওই বন্দরটি জিডিএমএ কোম্পানির জন্য বরাদ্দ এবং সিঙ্গাপুরভিত্তিক ওই কোম্পানিটির হয়ে কাজ করছিলেন তিনি।

তবে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল লরা দুফি মনে করেন, নৌ-বাহিনীকে সবাই যে সম্মান আর শ্রদ্ধার সঙ্গে ক্ষমতা দিয়েছে, তার সঙ্গে ক্যাপ্টেন দুসেক বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন এবং নৌ-বাহিনীকে একটা বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি করে দিয়েছেন।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.