জাপানে বিমানের ফ্লাইট: সংযুক্ত করবে নেপাল-দিল্লি

ছয় ঘণ্টায় ঢাকা থেকে জাপান যাওয়া যাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে। আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে জাপানের নারিতায় সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছে বিমান। যদিও জাপানে অবস্থান করা বাংলাদেশির সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নিযুক্ত থাকা জাপানি নাগরিকরাই এই রুটের যাত্রী হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে নারিতা থেকে ঢাকার ফ্লাইটে ভারতের কলকাতা, দিল্লি ও নেপালের যাত্রী নিতে পারলে লাভজনক হবে বিমানের এই রুট। এই লক্ষ্যে ফ্লাইট শিডিউল চেঞ্জসহ ক্যাম্পেইন চালাবে বিমান।

জানা গেছে, ঢাকা-জাপান রুটে ২৫ জুলাই থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বিমান। ঢাকা-নারিতা রুটে একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ৭০ হাজার ৮২৮ টাকা এবং রিটার্ন টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৬ টাকা। তবে নতুন রুট উদ্বোধন উপলক্ষে ছাড় দিয়েছে বিমান। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ মূল্য ছাড় দেওয়া হয়। সে সময়ে ঢাকা-নারিতা রুটে একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া জনপ্রতি সর্বমোট ৪৯ হাজার ১০০ টাকা ছিল। রিটার্ন টিকিটের ভাড়া শুরুতে ছিল ৮৪ হাজার ৪৯৬ টাকা।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে উদ্বোধনী ফ্লাইটের অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে। ঢাকার পাশাপাশি কাঠমান্ডু, দিল্লি ও কলকাতার যাত্রীদের কাছেও এই রুটের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে ঢাকা-নারিতা ফ্লাইটের সময়ের সঙ্গে কলকাতা, দিল্লি, নেপালের ফ্লাইটের সময়ের পার্থক্য বেশি। এ কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে বিমানকে। ইতোমধ্যে নারিতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কলকাতা, দিল্লি, নেপাল রুটের ফ্লাইটের সময় পরিবর্তনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিমান।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে সপ্তাহে প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে বিমানের ফ্লাইট নারিতার উদ্দেশে যাত্রা করবে। নারিতা থেকে সপ্তাহে প্রতি শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। উদ্বোধনী ফ্লাইট ১ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করবে। এটা জাপানের নারিতায় পৌঁছাবে স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে। নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম ফ্লাইট বিজি-৩৭৭ আগামী ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টায় উড্ডয়ন করে ঢাকায় পৌঁছাবে শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায়।

অত্যাধুনিক মডেলের বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের মাধ্যমে নারিতা ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বিমানের বিপণন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, জাপান প্রবাসী বাংলাদেশি কিংবা বাংলাদেশে কর্মরত জাপানিদের নিয়ে এই রুট দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হবে না। বাংলাদেশ-জাপান পর্যটন বাড়াতে হবে। এজন্য বিমানের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে যাত্রীরা যেন ঢাকা হয়ে জাপান যাওয়া-আসা করতে পারেন সে বিষয়ে আমরা বিপণন কৌশলে এগোচ্ছি।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, সব প্রস্তুতি শেষে আমরা জাপানে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছি। আমাদের ফ্লাইটের বিশেষত্ব হচ্ছে ঢাকা থেকে সরাসরি ফ্লাইট। এতদিন অন্য কোনও দেশ ঘুরে জাপান যেতে হতো। আমাদের প্রতিবেশী দেশের যাত্রীরাও স্বল্প সময়ে ঢাকা হয়ে জাপান যেতে পারবেন। সামগ্রিকভাবে আমরা প্রত্যাশা করছি এই রুটটি লাভজনক হবে।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.