দীর্ঘদিন পর পাকিস্তানে ফিরছে আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্ট। ২০০৯ সালে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের মাটিতে অনেক দিন বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। একটা সময় দেশটির ক্রিকেট দলের হোম ভেন্যু হয়ে গিয়েছিল দুবাইয়ের মাঠ। এখন অবশ্য পরিস্থিতি পাল্টেছে। একের পর এক দেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে। আগামী ৩০ আগস্ট দেশটিতে পর্দা উঠছে এশিয়া কাপের।
আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে বাড়তি সতর্ক পাকিস্তান সরকার। কারণ এরপর ২০২৫ চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফিরও আয়োজক দেশ পাকিস্তান। ফলে এশিয়া কাপটা তাদের কাছে অ্যাসিড পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে কোনো ভুল করতে চায় না তারা। ১৯৯৬ সালের পর বড় টুর্নামেন্টের দায়িত্ব পাওয়া পাকিস্তান এবার নিরাপত্তার জন্য সেনা মোতায়েন করছে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানাচ্ছে, দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকার এশিয়া কাপের জন্য সেনা মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছে। আর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য় থাকবে পাঞ্জাব রেঞ্জার্স।
যদিও ভারতের আপত্তির কারণে এশিয়া কাপের সব ম্যাচ পাকিস্তানে হচ্ছে না। মাত্র চারটি ম্যাচ হবে। মুলতান ও লাহোরে ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে। পিসিবি দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশেষে টুর্নামেন্ট শুরুর মাত্র চার দিন আগে অতিরিক্ত নিরাপত্তার দাবি ‘সবুজ সিগনাল’ পেয়েছে।
৩০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এবারের আসরের মোট ৪ টি ম্যাচ আয়োজন করবে পাকিস্তান। আর বাকি ৯ টি ম্যাচের আয়োজক হিসেবে থাকবে শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টের ফাইনাল সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ। সূচি অনুযায়ী, ভারত পাকিস্তানের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি হবে শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে।