ফের অভিশংসনের ঝুঁকির মুখে ট্রাম্প?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। এর আগে কয়েকবারই মার্কিন কংগ্রেসে ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসনের ঝুঁকির মুখে পড়েছিলেন তিনি। এখন আবার কথা উঠেছে, ট্রাম্পকে ঘিরে সর্বশেষ যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য তাকে ইমপিচ করা যেতে পারে কিনা।
সে এক বিচিত্র ঘটনা – যাতে জড়িয়ে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন, যিনি বারাক ওবামার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এতে আরও জড়িয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার মাইল দূরের দেশ ইউক্রেন, আর তেল-গ্যাস ব্যবসার স্বার্থ।
কিছুদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন যেন তারা বাইডেন পরিবারের কথিত দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত করে। কারণ জো বাইডেনের ছেলে হান্টার ইউক্রেনের একটি গ্যাস কোম্পানির পরিচালক ছিলেন।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চাপ প্রয়োগের কথা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু তিনি এটা স্বীকার করেছেন যে জুলাই মাসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় তিনি জো বাইডেন এবং তার ছেলে হান্টারের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলেছিলেন।

জো বাইডেন (ডানে) এবং তার ছেলে হান্টার
এ নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে শুরু হয়েছে হৈচৈ। খবরটা জানাজানি হওয়ার পরই বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটদের কেউ কেউ শোর তুলেছেন যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কংগ্রেসে অভিশংসন প্রস্তাব আনতে হবে।
সিনিয়র ডেমোক্র্যাট এ্যাডাম শিফ – যিনি এর আগে ট্রাম্পকে অভিশংসন করার বিরোধী ছিলেন – এবার তিনিও বলছেন, ট্রাম্প এক্ষেত্রে হয়তো সীমা লংঘন করেছেন।
ব্যাপারটা কী?
২০১৪ সালের কথা। তখন জো বাইডেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউক্রেনের ব্যাপারে মার্কিন নীতি কি হবে তার একজন মুখ্য নির্ধারক। ঠিক সে সময়ই তার ছেলে হান্টার বাইডেন ইউক্রেনের প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি বুরিসমার একজন পরিচালক হিসেবে যোগ দেন।
তখনই প্রশ্ন উঠেছিল যে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের ছেলে যদি ইউক্রেনের একটি গ্যাস কোম্পানির পরিচালক হন – তাহলে এক্ষেত্রে বাইডেন পক্ষপাতহীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কি না অর্থাৎ এখানে একটা স্বার্থের সংঘাত হচ্ছে কিনা।
তখন ইউক্রেন রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়াপন্থী প্রেসিডেন্ট সদ্য ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। সেই সময়টা জো বাইডেন ঘন ঘন ইউক্রেন সফরে যাচ্ছিলেন।