‘ব্যক্তিগত বিষয়গুলো একটু আলাদাই থাক’

‘ব্যক্তিগত বিষয়গুলো একটু আলাদাই থাক’

নতুন প্রজন্মের নায়িকাদের মধ্যে আলোচিত নাম পূজা চেরি। ইতিমধ্যে ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’, ‘নূরজাহান’ ও ‘প্রেম আমার ২’ নামের চারটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার। প্রতিটি ছবিতেই প্রশংসিত হয়েছেন এই নায়িকা। ‘পোড়ামন ২’ ছবিটি মুক্তির পর ব্যবসা সফলতার শীর্ষে অবস্থান করেছিলো। বর্তমানে ব্যস্ত রয়েছেন ‘জিন’ ছবির শুটিংয়ে। পাশাপাশি করছেন ‘শান’ নামের আরেকটি ছবির শুটিং। আলাপচারিতায় জীবনের অনেক কথা বলেছেন অকপটে।

 বর্তমান নায়িকাদের মধ্যে আলোচিত তালিকায় আপনার নাম রয়েছে। কেমন লাগে বিষয়টি?

পূজা চেরি: নায়িকা হিসেবে তো সবেমাত্র চারটি সিনেমাতে অভিনয় করেছি। আরেকটি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। চারটি ছবি দিয়ে তো আর সবকিছু বিবেচনা করা যায় না। তবে আমি শুধু আমার কাজটি করে যেতে চাই। ভালো-মন্দ বিচারের দায়িত্ব আমার না। তবে শতভাগ সৎ থাকি সবসময়। পোড়ামন ২, দহন, নূরজাহান ছবিতে অভিনয় করে অনেক মানুষের প্রশংসা পেয়েছি। তার মধ্যে আবার এমন কিছু মানুষও আছে, ভাবিনি তাদের কাছ থেকে এতো প্রশংসা পাবো।

নায়িকা হিসেবে সিনেমায় অভিষেক হলো কীভাবে?

পূজা চেরি: প্রথমে শিশুশিল্পী হিসেবেই কাজ করতাম। এরপর যখন ‘নূরজাহান’ সিনেমাটি করলাম, তখন দেখেছি একজন নায়ক কিংবা নায়িকাকে কীভাবে অভিনয় দিয়ে সিনেমার গল্পটিকে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যেতে হয়। সেদিক থেকে তো আমার এ দুটি কাজ করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। যদিও এ বিষয়টি উপভোগ করি। আগে তো সবাই আমাকে একটি ডিটারজেন্টের বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবেই চিনতো। এখন আমাকে সিনেমার নায়িকা হিসেবে আলাদা করে চেনে। এখন তো এই কাজের জায়গাটিকে ধীরে ধীরে বয়ে নিয়ে যেতে হবে।

ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ‘পোড়ামন ২’ ছবিতেই সফলতার দেখা পেলেন। কী মনে হয়?

পূজা চেরি: আসলে আমি অভিনয় করতে চাই। নিজেকে একজন নায়িকা হিসেবে প্রেজেন্ট করতে চাই না। ভালো অভিনেত্রী হতে চাই। ভালো কাজ কিংবা অভিনয়ের জায়গা পেলে সে কাজটি তো করতেই চাই। সেখান থেকে বলবো, যে সিনেমায় অভিনয় করবো, সেই সিনেমার গল্পটি ভালো হতে হবে।

কার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন?

পূজা চেরি: সুচিত্রা সেনের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তার চোখের অ্যাক্টিং আমাকে মুগ্ধ করে। তার মতো করে অভিনয় করার চেষ্টা করি, কিন্তু হয় না। যখন সময় পাই, তখনই তার কোনো না কোনো সিনেমা আমি দেখি। তাকে অনুসরণ করি।

 ব্যক্তিগত জীবনে পূজা ঠিক কেমন?

পূজা চেরি: শিশুশিল্পী হিসেবে আগে কাজ করতাম। এরপর আমাকে নায়িকা বানানোর চ্যালেঞ্জটা কিন্তু আজিজ ভাই নিয়েছেন। এরপর তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবনের অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। ব্যক্তিগত বিষয়গুলো একটু আলাদাই থাক।

 অবসরে কী করা হয়, সিনেমা কী দেখা হয় নিয়মিত?

পূজা চেরি: গান শোনা, মুভি দেখা কিংবা টিভিতে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম দেখি। বেশি শোনা হয় গান। সব ধরনের গানই শুনি। নির্দিষ্ট করে কারও গান শুনি না। সুচিত্রা সেনের সিনেমা বেশি দেখা হয়।

পেছন ফিরে তাকালে এখন কী মনে হয়?

পূজা চেরি: সবদিক থেকেই ব্যালেন্স করে চলার চেষ্টা করি। কারণ আমি জানি, আমি কোথায় গিয়ে থামতে চাই। প্রতিটি মানুষেরই আলাদা একটা ভিশন থাকে। আমারও আছে, যার কারণে সে রকম কিছু ঘটার সুযোগ কখনোই দিইনি। ওপরে ওঠার সিঁড়িটাতে হুট করেই শেষ ধাপে চলে যেতে চাই না। একটু একটু করে এগুতে চাই।

পথ চলতে গিয়ে কখনও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন?

পূজা চেরি: সেরকম কোনো অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হইনি। পেশাদারিত্বের এই সময়ে বিষয়গুলো এভাবে দেখার সুযোগ নেই। সময় তো এখন অনেক এগিয়ে গেছে। যেহেতু একজন পেশাদার অভিনেত্রী আমি, যার কারণে সে জায়গাটা মেইনটেইন করেই সামনে এগিয়ে যেতে চাই। যদি কখনও ওই ধরনের ঘটনা ঘটে, সেগুলো একপাশে রেখে পথ চলবো। জীবনটাকে ভীষণ পজিটিভলি দেখি।

বাণিজ্যিকভাবে আপনাকে ভরসার মনে করে সিনেমার মানুষজন?

পূজা চেরি: মানুষ প্রথমে কাজ করে, এরপর নিজেকে ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে সমৃদ্ধ করে। আমার কাছে কাজের জায়গাটি সবসময়ই চ্যালেঞ্জের। একটু একটু করে তাদের ভালোবাসা পাচ্ছি। একদিন হয়তো তাদের ভরসার জায়গায় চলে যাবো।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.