ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় গত মাসে ডিপোর্ট বা জোর করে ফেরত পাঠাতে ৫৫ বাংলাদেশিসহ মোট ১৬০ জনেরও বেশি অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১১৪ জনকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোমানিয়া জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন এর তথ্য ও জনসংযোগ কার্যালয় জানিয়েছে, ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে আটক ১৬৫ জন অভিবাসীকে দেশটির আরাদ এবং ওটোপেনির আটককেন্দ্রে রাখা হয়েছিল। খবর ইনফোমাইগ্রেন্টসের
বিবৃতিতে বলা হয়, আটককৃতদের মধ্যে ৫৫ জন বাংলাদেশি, ৩৫ জন পাকিস্তানি, ১৯ জন মিশরীয় অভিবাসী এবং বাকিরা অন্যান্য দেশের নাগরিক।
অভিবাসীদের আটক করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়ার প্রধান কারণগুলো হলো, তারা প্রতারণামূলকভাবে রোমানিয়ার রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা করছিলেন। আবার অনেকেই তাদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া দেশ ত্যাগের নোটিশ না মেনে রোমানিয়ার ভূখণ্ডে অবস্থান করছিলেন।
মাসের শুরুর দিকে সাত জন বিদেশিকে হাঙ্গেরি সীমান্ত থেকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে তিনজনকে তিমিসোরার আঞ্চলিক আশ্রয়প্রক্রিয়া কেন্দ্র এবং বাসস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
অপরদিকে, ১৯ জুলাই পরিচালিত এক অভিযানে আরাদ কাউন্টির অভিবাসন কর্মকর্তারা ২১ থেকে ৪৬ বছর বয়সি ১১ অভিবাসীকে সীমান্ত রক্ষীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে ছয়জন মিশরের, দুজন বাংলাদেশের এবং তিনজন ভারত, তুরস্ক ও ভিয়েতনামের নাগরিক।
এছাড়া অন্যান্য অভিযানে বাকিদের বিভিন্ন সীমান্ত কেন্দ্র ও শহর এলাকা থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোমানিয়া থেকে অনিয়মিত পথে শেঙেন সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করা অভিবাসীদের দেশটির জরুরি অধ্যাদেশ-এর বিধান অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলো, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং সুইস কনফেডারেশনে প্রবেশে পাঁচ বছরে োর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নিজ দেশ ডিপোর্ট করা হয়।
জুলাইয়ে গ্রেপ্তার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে মোট ১১৪ জনকে তাদের নিজ দেশে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ডিপোর্ট বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আটককেন্দ্রে রাখা হবে।