এভিয়েশন নিউজ : বাংলাদেশ বিমানের মতিঝিল বিক্রয় সেন্টারটি ভেঙ্গে তৈরী করা হবে দেশের একমাত্র ও অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ ‘আইকন ভবন’। ইতোমধ্যে বর্তমান বিল্ডিংটিকে ভেঙ্গে ৫০ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন তৈরীর পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।এজন্য একটি কনসালটেন্ট ফার্মকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ফার্মটি তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিমানে। জানাগেছে রিপোর্টটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে। ভবনের একাধিক নকশা তৈরী ও সেটি পছন্দ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হযেছে। প্রধানমন্ত্রী দেখে শুনে যে ডিজাইনের ভবন তৈরীর অনুমোদন দেবেন সে অনুযাীর নতুন আইকন ভবনটি তৈরী করা হবে।
জানাগেছে ৩৫.৬ কাঠা বিশিষ্ট এই ভবনটিকে ৫০ তলা বিশিষ্ট আইকন ভবন হিসাবে নির্মাণ করা গেলে এটি হবে দেশের সবচেয়ে সুন্দর ও অত্যাধুনিক বহুতল ভবন। দেশের বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে এরকম একটি ভবন তৈরী করা গেলে তা পুরো দেশের জন্য আইকন ভবন হয়ে থাকবে। কনসালটেন্ট ফার্মের তথ্য অনুযায়ী ভবনটির নির্মাণ বায় হবে ৪০২ কোটি টাকা। এটি দেশী বিদেশী ফান্ড কিংবা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে তৈরী করা হতে পারে।
জানাগেছে নতুন ভবনের কয়েকটি ফ্লোর থাকবে বিমানের জন্য নির্ধারিত। এসব ফ্লোরে সাজানো হবে বিমানের অধুনিক সেল্স সেন্টার, গবেষনা কেন্দ্র, ট্রেনিং সেন্টারসহ অন্যান্য অফিস। এছাড়া থাকবে একাধিক কার পার্কিং, আবাসিক হোটেল-রেস্টুরেন্ট। বাকী ফ্লোরগুলো বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেয়া হবে। ভবনের সর্বোচ্চ তলায় থাকবে দৃস্টি নন্দক একটি ঘুর্ণায়মান রেস্টুরেন্ট। আকর্ষনীয় এই ভবনটি তৈরী করতে সময় লাগবে ৫ বছর।
বিমান পরিচলণা পর্যদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহম্মেদ এভিয়েশন নিউজকে বলেন, শুধু মতিঝিল ভবনটিই নয়, ফার্মগেইট ও চট্টগ্রামের ভবন দুটিকেও ভেঙ্গে অত্যাধুনিক আইকন সেন্টারে রুপান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে এনিয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতিও হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানকে প্রচন্ড ভালবাসেন। তারই নেতৃত্ব ও নির্দেশনা অনুযায়ী বিমান কতৃপক্ষ এসব কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করবে। জামাল উদ্দিনের মতে যদি যথা সময়ে সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হয় তাহলে বাংলাদেশের পতাকা খচিত রাস্ট্রীয় ক্যারিয়ার বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সও বিশ্বের সেরা এয়ারলাইন্সগুলোর কাতারে স্থান করে নেবে। এটি এখন সময়ের ব্যাপার।