থাইল্যাণ্ডের মালয়েশিয়া সীমান্ত এলকার গভীর জঙ্গলে ‘গণকবর’ শনাক্তের ঘটনায় বিশ্ব মিডিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। খবরে বল হচ্ছে, ‘গণকবর’ থেকে এপর্যন্ত ৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর অন্তত একজন বাংলাদেশিকে সেখান থেকে জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।
থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় একশ কিলোমিটার দূরে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে সংখলা প্রদেশের সাদাও এলাকায় ৩২টি গণকবরের সন্ধান পায় থাই পুলিশ।
গণকবরে দাফন হওয়া এইসব হতভাগ্যরা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে সমূদ্র পথে মালয়েশিয়া অথবা থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে অথবা সেখানে যাওয়ার পর নিহত হন বলে থাই পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করছেন।
এদিকে বিষয়টি জানার জন্য প্রবাসী কল্যাণ সচিবকে ফোন করলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও শনিবার দুপুর পর্যন্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে বিদেশে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন ‘বায়রার’ সভাপতি আবুল বাশার সেখানে যদি কোন বাংলাদেশির লাশ থেকে থাকে তা চিহ্নিত করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং খাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে নৌপথে মানব পাচার বন্ধ না করার কারণেই এই দূ:খজন ঘটনা ঘটছে। এর আগেও সেখানকার জঙ্গলে বন্দি বাংলাদেশিদের উদ্ধার করা হয়। তারাও উদ্ধার না হলে হয়তো একই পরিণতির শিকার হতেন।’