লেবানন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি
ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির লেবানন সফর নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
সাবেক মন্ত্রীর সফরসঙ্গী সাত জন সংসদ সদস্যের নাম প্রকাশ করতেও অনীহা প্রকাশ করছেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। আওয়ামী লীগের প্রবাসী কয়েকজন নেতা ছাড়া আর কেউ দীপু মনির সাথে দেখা করতেও পারেননি। দীপু মনির সফর নিয়ে দূতাবাসের গোপনীয়তায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
জানা যায়, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির নেত্রীত্বে বৃহষ্পতিবার ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে পৌঁছান। ওই প্রতিনিধি দলে অপর ছয় সংসদ সদস্য হলেন, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, কাজী নাবিল আহমেদ, সোহরাব উদ্দিন, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, সেলিম উদ্দীন ও মাহজাবিন খালেদ। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের চার জন কর্মকর্তা এই দলে রয়েছেন। যে চারজন কর্মকর্তা ওই প্রতিনিধি দলে আছেন তারা জনপ্রশাসনের কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা তাও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
লেবাননে বাংলাদেশের সাতজন সংসদ সদস্য একত্রে কেন গেলেন, তাদের সফরসূচি কী, ওই প্রতিনিধি দলে কারা কারা আছেন এসব বিষয়ে জানতে লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব সিকদার মো: আশরাফুর রহমানের সাথে দিনভর চেষ্টা করেও টেলিফোনে পাওয়া যয়নি।
লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. নজরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে দীপু মনির সফরের কথা স্বীকার করলেও তারা কতজন এসেছেন, তাদের সফরসূচি কী এসব বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ দূতাবাসের কঠোর গোপনীয়তার কারণে ডা. দীপু মনির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর অবস্থান বিষয়েও জানা যায়নি। লেবাননে দীপু মনি ব্যবহৃত অস্থায়ী মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফেসবুকেও দীপু মনির কোনো স্ট্যাটাস পাওয়া যায়নি।
তবে দীপু মনির সফর সঙ্গী সংসদ সদস্য মাহজাবিন খালেদ এর ফেসবুক পেজে তাদের বৈরুত বিমানবন্দরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যর্থনার একটি ছবি পাওয়া যায়। ওই ছবিতে লেবানন আওয়ামী লীগের একাংশের প্রধান উপদেষ্টা আলী আশরাফ ভুইয়া, সিনিয়র সহসভাপতি আলী আকবর মোল্লা, সহসভাপতি সাজু আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
লেবাননে বাংলাদেশের সাত এমপির সফর নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের গোপনীয়তায় প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রবাসীরা ওই সংসদ সদস্যদের সাথে মত বিনিময় করবেন এটা একটি স্বাভাবিক বিষয় হলেও বাংলাদেশ দূতাবাস কেনো এই অস্বাভাবিক গোপনীয়তা অবলম্বন করছে তা নিয়ে প্রবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে লেবাননে বাংলাদেশের আরেক রাষ্ট্রদূতের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রবাসীরা আন্দোলন শুরু করলে লেবাননের স্থানীয় প্রশাসন দূতাবাস সরিয়ে নিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিল। পরে ওই রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করা হয়।