মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে যা বললেন রাষ্ট্রদূত

আজ শনিবার (১ জুন) থেকে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের জন্য কর্মী যাওয়া বন্ধ করেছে মালয়েশিয়া। দেশটির এমন সিদ্ধান্তে ভিসা পেয়েও বিমানের টিকিটসহ নানা জটিলতায় আটকা পড়েন ৩০ হাজারের বেশি দুর্ভাগা কর্মী। সরকার নির্ধারিত জনপ্রতি ব্যয় ৭৯ হাজার টাকা হলেও মালয়েশিয়া যেতে এই কর্মীদের বেশিরভাগেরই গুনতে হয়েছে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। অভিযোগ উঠেছে কয়েকটি এজেন্সির গাফিলতির জন্য এই সব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি।

স্বপ্নভঙ্গ হওয়া এসব কর্মীর বিষয়ে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ে দেশটিতে যেতে না পারা কর্মীদের নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে কুয়ালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।

যারা ভিসা পেয়ে মালয়েশিয়ায় আসতে পারেননি, তাদের নিয়ে আসার ব্যাপারে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে, যেন তাদের দ্রুত নিয়ে আসা যায় বলে জানান রাষ্ট্রদূত। শুক্রবার রাতে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর পরিদর্শন করে তিনি গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।

 

শামীম আহসান বলেন, ৫ লাখ ২৭ হাজারের বেশি ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন করেছি। এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৭২ হাজারের বেশি কর্মী মালয়েশিয়াতে এসেছে। আমরা নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তারা যেন এসে এখানে কাজ পায়।

৩১ মের পর বাংলা‌দেশসহ ১৫‌টি দেশ থে‌কে আর কোনো শ্রমিক মালয়েশিয়ায় ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা দি‌য়ে‌ছে কুয়ালালামপুর। দেশ‌টির এমন সিদ্ধান্তে পরিবর্তন না আসার কথা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনা মোহম্মদ হাসিম।

বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ৩০ মে পর্যন্ত পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৬ কর্মীকে মালয়েশিয়া যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত দেশটিতে গেছেন ৪ লাখ ৯১ হাজার ৭৪৫ জন কর্মী।

আরও খবর
আপনার কমেন্ট লিখুন

Your email address will not be published.