ঢাকা: থাইল্যান্ডের পর এবার ইন্দোনেশিয়া সাগরের পশ্চিম উপকূল থেকে ৪৬৯ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতরা সবাই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিক। তবে এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশী আর কতজন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। থাইল্যান্ডের গহিন জঙ্গল থেকে আরও ৩২ বাংলাদেশীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রথমে আচেহ প্রদেশের মানতাং পুনতংয়ে তাদের রোববার সকালে আনা হয়। এদিকে দেশটিতে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চলায় তারা নতুন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।
আচেহ প্রদেশের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের প্রধান বুদিওয়ান বলেন, জেলেরা মাছ ধরার সময় দেখতে পায় কিছু মানুষ উত্তর আচেহ উপকূলে নৌকার মধ্যে রয়েছে। আমরা খবর পেয়ে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করি। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। বর্তমানে তারা নিরাপদে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ধারণা করছি অভিবাসীরা সবাই বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নাগরিক।
বুদিয়ান বলেন, উত্তর আচেহ জেলার একটি শিবিরে তাদের রাখা হয়েছে। ইমিগ্রেশন ও পুলিশ সদস্যরা তাদের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করছে।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৮৩ জন নারী ও ৪১টি শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও রয়েছেন। ১০ বছর বয়সের নিচেও শিশু রয়েছে। তাদের উদ্ধারের সময় নৌকায় কিছু খাবার ও পানিও পাওয়া যায়। তবে অভিবাসীরা অসুস্থ। তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন।
জাকার্তার অভিবাসী সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার উপপ্রধান স্টিভ হ্যামিল্টন জানান, দুটি নৌকা থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করা হয়েছে। একটি নৌকায় প্রায় ৪৩০ জন, অন্যটিতে ৭০ জন ছিল। তিনি আরও জানান, ত্রাণকর্মীরা সেখানে পৌঁছেছেন। উদ্ধার হওয়াদের অনেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাদের দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।
থাইল্যান্ডের জঙ্গল থেকে ৩২ বাংলাদেশী উদ্ধার:
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গল থেকে ৩২ বাংলাদেশী অভিবাসীকে উদ্ধার উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার শংখলা প্রদেশের হাতইয়াই ও রাত্তাফুম জেলা সংলগ্ন একটি পাহাড় থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানকার একটি বনের পাশে হাঁটাহাঁটি করার সময় স্থানীয় পুলিশের নজরে আসে তারা।
পুলিশের বরাত দিয়ে ব্যাংকক পোস্ট জানায়, ক্ষুধা আর ক্লান্তিতে তাদের শরীর ভেঙে পড়েছে। তাদের রাত্তাফুমের একটি আশ্রয়কেন্দ্র নেয়া হয়েছে।
এর আগে রাত্তাফুম থেকে উদ্ধার হওয়া আরও ১১৭ অবৈধ অভিবাসীকে এ আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯১ জনই বাংলাদেশী।